২০১৭ সালে নয়জনকে হত্যার অভিযোগে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে জাপান। ২০২২ সালের পর এই প্রথম দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ‘টুইটার কিলার’ হিসেবে অভিহিত তাকাহিরো শিরাইশির ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড দেশকে হতবাক করে দিয়েছিল।
৩০ বছর বয়সী শিরাইশি তার শিকারদের প্রলুব্ধ করে তার অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে যেতেন।
শিরাইশি পরে নয়জন আত্মহত্যাপ্রবণ ব্যক্তিকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। টুইটারে তাদের সাঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন বলে তিনি জানান। আত্মহত্যাপ্রবণ ব্যক্তিদের তিনি বলতেন, তাদের মৃত্যুতে সাহায্য করতে পারবেন। কিছু ক্ষেত্রে বলেছিলেন, তাদের সঙ্গে তিনিও আত্মহত্যা করবেন।
শিরাইশির টুইটার প্রোফাইলে লেখা ছিল, ‘আমি সত্যিই যন্ত্রণায় ভোগা মানুষদের সাহায্য করতে চাই। দয়া করে আমাকে যেকোনো সময় ডিএম করুন (সরাসরি বার্তা পাঠান)।’
কর্মকর্তারা যখন শিরাইশির ফ্ল্যাটে যান, তখন কুলার এবং টুল বাক্সে নয়টি খণ্ডিত মৃতদেহ পান। যা মিডিয়া আউটলেটগুলো ‘ভয়াবহতার ঘর’ হিসেবে অভিহিত করেছিল।
প্রসিকিউটররা শিরাইশির মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিলেন কিন্তু তার আইনজীবীরা ‘সম্মতিতে হত্যা’ করা হয়েছে বলে যুক্তি দিয়েছিলেন।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে যখন তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল, তখন তার রায় শুনানিতে শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের কারণে টুইটার তাদের নিয়ম সংশোধন করেছে।
সূত্র : বিবিসি