টানা অষ্টম দিনের মত চলছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত। কট্টর ইহুদী রাষ্ট্র ইসরায়েল মুসলিম দেশ ইরানের পারমাণবিক গবেষণাগার ও সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনে যে পাপ করেছে সেই পাপের ফলে ইরানের মুুহুর্মুহু মিসাইলের আঘাতে এখন বিধ্বস্ত গোটা ইসরায়েল। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের শুরু থেকেই ইসলাম বিদ্বেষী নেতানিয়াহুর হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন ইহুদি রাষ্ট্র আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমাতধর এই ব্যক্তি নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন ইরানকে কিন্তু দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সেই কথাকে পাত্তা না দিয়ে ইসরায়েলে হামলার মাত্রা আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর এতেই ক্ষেপে গিয়ে এখন ইরানে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিতে মার্কিন সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু, একমাত্র একটি শর্ত, যা মানলে ইরানে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারেন ট্রাম্প। এমনটিই জানা যাচ্ছে আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সূত্রে।
কিন্তু, কি সেই শর্ত? এই শর্তের কথা জানার আগে, মনে করিয়ে দিতে চাই ইসরায়েলের ইরানে আগ বাড়িয়ে হামলা চালানোর কারণ। কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার আশেপাশের প্রতিবেশি কোন দেশ পারমাণবিক শক্তিধর হোক বা পারমাণবিক শক্তিতে এগিয়ে যাক তা চায় না। এটাকে কঠোর হুমকি হিসেবেই দেখেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। ইরান কাগজে কলমে পারমাণবিক শক্তিধর দেশের তালিকায় না থাকলেও ইতিমধ্যেই দেশটির কাছে পারমাণবিক বোমা থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় বিভিন্নভাবে। আর এতেই রাতের ঘুম হারাম হবার দশা হয় নেতানিয়াহুর, ইরানের পরমাণবিক গবেষণাগার ও স্থাপনায় মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেল আবিব।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে ইরানে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিশ্বজুড়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এমনকি নিজ দেশেই এর বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে কঠোর আন্দোলন। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানাচ্ছে ইরান যদি তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয় তাহলেই কেবল দেশটি মার্কিন হামলা থেকে রেহায় পেতে পারে।
কার্যত যা এখন একেবারেই অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। কারণ, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন অন্যায়ের সাথে কোন আপোষ নয়। ইসরায়েলকে উচিৎ শিক্ষা না দিয়ে না থামার কথাও জানান তিনি। আর পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ করার যে শর্ত সেটিও কোনভাবেই ইরান মানবে না বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞমহলের। ইসরায়েলের হয়ে ইরানে আমেরিকা হামলা চালালে বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটিই এখন দেখার বিষয়।