প্রেম প্রত্যাখ্যানের জেরে দাদি-নাতবউকে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার



প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বগুড়ায় দাদি-নাতবউকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সৈকত হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। 


বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ভোরে শহরের খান্দার এলাকার পাসপোর্ট অফিসের পাশে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সৈকত ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকার সোহেল ইসলামের ছেলে।


বুধবার (১৬ জুলাই) রাত সোয়া ৮টার দিকে বগুড়া পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকায় নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নিহতরা হলেন- লাইলী বেওয়া (৮৩) ও হাবিবা ইয়াসমিন (২১)। সম্পর্কে তারা দাদিশাশুড়ি ও নাতবউ। এছাড়া এই ঘটনায় বুলবুলের মেয়ে বন্যা (১৬) আহত হন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন।


নিহতের স্বজনদের বরাতে জানা যায়, সৈকত দীর্ঘদিন ধরে বন্যাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করছিল। পরিবার থেকে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ও প্রতিবাদ জানানো হলে সৈকত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বুধবার রাতে সৈকতসহ আরও ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমে হাবিবা ও পরে লাইলী বেওয়াকে গলা কেটে হত্যা করে। বাধা দিতে গেলে বন্যাকে ছুরিকাঘাত করা হয় পেটে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে লাইলী ও হাবিবাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।


বগুড়া জেলা ডিবির ইনচার্জ ইকবাল বাহার জানান, ‘গ্রেপ্তার এড়াতে সৈকত নানা কৌশলে আত্মগোপন করেছিল, তবে ডিবির চৌকস অভিযানেই তাকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। এখন তাকে সঙ্গে নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।’


আরও পড়ুন: বড় ভাইয়ের নির্মমতায় মসজিদে মুহূর্তেই লুটিয়ে পড়েন ছোট ভাই


বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। প্রধান অভিযুক্ত সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এবং আহত বন্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

Post a Comment

Previous Post Next Post