গা'জায় নিজেকে শেষ করে দিলেন আরও ৪ ই'স'রা'য়েলি সেনা



গত দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে গাজায় ৪ ইসরায়েলি সেনা আত্মহত্যা করেছেন। ত্মহত্যাকারীদের মধ্যে দুজন ছিলেন কনস্ক্রিপ্ট। অর্থাৎ বাধ্যতামূলক সামরিক সেবায় নিযুক্ত ব্যক্তি। আত্মহত্যার সময় তারা সক্রিয় দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। খবর মিডল ইস্ট আই


অন্য দুজন ছিলেন রিজার্ভ সেনা। এসব সেনাদের প্রয়োজন বা সংকটের সময় দায়িত্ব পালনের জন্য ডাকা হয়। এই দুই সেনা গাজায় কয়েক সপ্তাহ যুদ্ধ করে সদ্য অবসরে গিয়েছিলেন।


গত মঙ্গলবার টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, আরেক সেনাসদস্যও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু সফল হননি। তবে গুরুতর আহত হয়েছেন।


গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশু অন্তত ১৭ হাজার। প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে আত্মহত্যার হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।


হারেৎজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪৩ ইসরায়েলি সেনা আত্মহত্যা করেছেন। এদের মধ্যে চলতি বছরই আত্মহত্যা করেছেন ১৪ জন। এছাড়া ২০২৪ সালে আত্মহত্যা করেছিলেন ২১ জন, যা ২০১১ সালের পর সর্বোচ্চ।


ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ সেনা আত্মহত্যার এই সংখ্যা ‘অসহনীয়’ বলে মন্তব্য করেছেন।


মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থাগুলো মনে করে, ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কিন্তু তা প্রকাশ করা হচ্ছে না। কারণ, সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, নিয়মিত দায়িত্বে ছিলেন না, এমন সেনাদের আত্মহত্যার ঘটনা পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।


সেনাবাহিনীর কয়েকটি সূত্র হারেৎজকে জানিয়েছে, অধিকাংশ আত্মহত্যার ঘটনা তীব্র লড়াইয়ের অভিজ্ঞতার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।


সাম্প্রতিক আত্মহত্যাগুলো এমন এক সময়ে ঘটল, যখন হামাস গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা জোরদার করেছে। গত দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে ফিলিস্তিনিদের হামলায় অন্তত ১২ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন।


যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৮৯৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গত ১৮ মার্চ ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর নিহত হয়েছেন ৪৫ জন।


ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজা যুদ্ধে অন্তত আরও ১৯ হাজার সেনা আহত হয়েছেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post