৩ বছর পর পুতিন-ম্যাক্রোঁ ফোনালাপ, ইরান-ইউক্রেন নিয়ে কী কথা হলো?

 

২০২২ সালের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ফোনে কথা বলেছেন। এ সময় ইউক্রেন যুদ্ধ ও পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান নিয়ে আলোচনা করেন এই দুই নেতা। মঙ্গলবার (১ জুন) বার্তা সংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়, উভয় নেতাই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে শান্তি, নিরাপত্তা এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে তাদের দেশের দায়িত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।



মঙ্গলবার (১ জুন) এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানায়, ইউক্রেনের পরিস্থিতি বিবেচনা করার সময় পুতিন চলমান সংঘাতকে পশ্চিমা দেশগুলোর নীতির "সরাসরি" পরিণতি বলে যুক্তি দিয়েছেন। পশ্চিমারা বহু বছর ধরে রাশিয়ার নিরাপত্তা স্বার্থ উপেক্ষা করেছে এবং এখন শত্রুতা দীর্ঘায়িত করার নীতি অনুসরণ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।


বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউক্রেনের ওপর সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির মৌলিক পন্থাগুলো নিশ্চিত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং যুক্তি দিয়েছেন যে এ চুক্তি দীর্ঘমেয়াদী হওয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনীয় সংকটের মূল কারণগুলো নির্মূল করার ব্যবস্থা করা উচিত। এসব বিষয়গুলো বাস্তাবায়ন মূলত নতুন আঞ্চলিক বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।



ইরান-ইসরায়েল সংঘাত এবং তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলার প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন তারা। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ ব্যবস্থা নিশ্চিতেও আলোচনা করেন তারা।


এ নিয়ে ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি বিকাশে তেহরানের বৈধ অধিকারকে সম্মান করে মস্কো। পুতিন এবং ম্যাক্রোঁ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য বিষয়গুলো রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে সমাধানের পক্ষেও কথা বলেছেন।


এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্সি এক বিবৃতি জারি করে জোর দিয়ে বলেছে, ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধবিরতি এবং আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন এবং ইরানের পারমাণবিক সমস্যার জন্য একটি কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে তার প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেছেন।


তিনি পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) অধীনে ইরানের বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার ওপরও জোর দেন। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতার মাধ্যমে পরিদর্শকদের বিলম্ব না করে তাদের কাজ পুনরায় শুরু করার অনুমতি দিতে হবে বলে উল্লেখ করা হয় ফরাসি কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে।

Post a Comment

Previous Post Next Post