কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা পেহেলগামে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভারত সরাসরি চিরশত্রু পাকিস্তানের প্রতি দায় চাপিয়ে অপারেশন সিঁদুর নামক নেক্কারজনক হামলা চালায় দেশটিতে। পাকিস্তানের সাধারণ নিরীহ মুসলমানদের ওপর এই হামলায় মসজিদ পর্যন্ত রেহায় পায়নি কট্টর হিন্দুত্ববাদী ভারতের হামলা থেকে। তখনই সামনে এসেছিলো আগ বাড়িয়ে পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় সেনাদের মুখ থুবড়ে পড়ার করুণ দৃশ্য। তবে এবার প্রকাশ্যে এলো এই হামলা চালাতে গিয়ে পাকিস্তানের সেনাদের হাতে ভারতের কমপক্ষে আড়াই‘শো সেনা নিহতের চাঞ্চল্যকরা তথ্য।
মে মাসে সংঘটিত হওয়া পাক-ভারত সেই যুদ্ধের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ভারত। যদিও দাদাবাবুরা সেই সংঘাতের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জনসম্মুখে আনে নি কখনোই। তবে এবার পাকিস্তানি একটি সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে ভারতের ক্ষয়ক্ষতির নানা চিত্র। সীমান্তবর্তী লাইন অব কন্ট্রোলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চালানো ভারতের সেই বিশেষ অভিযানে ২৫০-এর বেশি ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
সম্প্রতি প্রকাশিত সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত সরকার গোপনে ১০০ জনেরও বেশি নিহত সেনাকে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে জনগণের নজর এড়িয়ে ভেতরে ভেতরে তাদের স্মরণ করা যায়। পাকিস্তানি প্রথম সারির এই সংবাদমাধ্যমটি তুলে ধরেছে নিহত হওয়াদের একটি খসড়া তালিকাও। তাদের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ৩ জন রাফাল পাইলটসহ মোট ৪ জন ভারতীয় পাইলট নিহত হয়। এছাড়া, ভারতীয় বিমানবাহিনীর ৭ সদস্য, ১০ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের ‘জি-টপ’ পোস্টের ৫ জন সেনা, ৯৩ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারের ৯ সদস্য, আদমপুর বিমানঘাঁটির এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ইউনিটের ৫ জন অপারেটর নিহত হয়। এই তালিকার বাইরে সকলেই সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেওয়া সেনা সদস্য।
পাকিস্তানের সেই গণমাধ্যমটির দাবি অনুযায়ী, ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদাসীন এক সিদ্ধান্তের ফসল ভারতের এই ২৫০ সেনা সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা। ভারতের মোদি সরকার কোনভাবেই এই নিহতদের পরিচয় প্রকাশ্যে আনতে চাচ্ছে না। বিষয়টিকে পকিস্তানের সাথে যুদ্ধে পরাজায়ের শামিল হিসেবে দেখছে ভারত, এমনটিই বলছে গণমাধ্যমটি।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানাচ্ছে, ভারত সরকার নিহত সেনা সদস্যদের পরিবারের লোকজনদের প্রতি করাকরি আরোপ করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের কোন ছবি পোষ্ট করতে বা নিহত হওয়ার কোন তথ্য প্রকাশে। এদিকে পাকিস্তানি মিডিয়ার এই খবর আন্তর্জাতিক মিডিয়ার বেশ নজর কেড়েছে। ইতিমধ্যে পাক-ভারত যুদ্ধ নিয়ে ভারতের লুকোচুরি এই মনোভাবের বেশ কড়া সমালোচনা করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, সত্য কখনো চাপা থাকে না, তাই ভারত সরকারের উচিৎ নিহত সেনা সদস্যদের পরিচয় সামনে নিয়ে আসা।