আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সব রেকর্ড নতুন করে লিখলেন ভুটানের তরুণ স্পিনার সোনাম ইয়েশে। মাত্র ২২ বছর বয়সে বাঁহাতি এই স্পিনারের জাদুকরী বোলিংয়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গেছে মায়ানমার। ৭ রান খরচায় ৮ উইকেট নিয়ে এখন ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে সেরা বোলিং ফিগারের মালিক তিনি।
বিধ্বংসী বোলিংয়ের নতুন মাইলফলক
শুক্রবার গেলেফু ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে ভুটান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১২৭ রান তোলে স্বাগতিকরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন নামগাং চেজায়।
তবে মূল নাটকীয়তা শুরু হয় মায়ানমারের ব্যাটিংয়ের সময়। ১২৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা মায়ানমারের ব্যাটারদের ওপর একাই ত্রাস সৃষ্টি করেন সোনাম ইয়েশে। নিজের ৪ ওভারের স্পেলে ১টি মেডেনসহ মাত্র ৭ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন ৮টি উইকেট।
সোনামের স্পিন ম্যাজিক যেভাবে এলো
ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই মায়ানমারের টপ অর্ডারে আঘাত হানেন সোনাম। ওই ওভারের প্রথম চার বলের মধ্যেই ৩ উইকেট শিকার করে মায়ানমারকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন তিনি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে পান চতুর্থ উইকেটের দেখা। এরপর শেষ দুই ওভারে আরও চার উইকেট (জোড়া আঘাত) নিয়ে মায়ানমারের ইনিংস মাত্র ৪৫ রানেই থামিয়ে দেন তিনি। বিপক্ষ দলের মাত্র দুই ওপেনার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে সক্ষম হন।
পেছনে পড়লেন ইদ্রুস ও দাউদ
সোনামের এই অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এর আগে মালয়েশিয়ার সিয়াজরুল ইদ্রুস (৮ রানে ৭ উইকেট) এবং বাহরাইনের আলী দাউদ (১৯ রানে ৭ উইকেট) এই তালিকার শীর্ষে ছিলেন। সোনাম তাদের দুজনকে পেছনে ফেলে এখন এককভাবে বিশ্বরেকর্ডের শিখরে।
সিরিজ নিশ্চিত করলো হিমালয়ের দেশটি
৮২ রানের বিশাল এই জয়ের সুবাদে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে অপ্রতিরোধ্য লিড নিল ভুটান। সেই সঙ্গে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিল দলটি। সোনাম ইয়েশের এই বিশ্বজয়ী পারফরম্যান্স ভুটানের ক্রিকেট ইতিহাসে এক সোনালী অধ্যায় যোগ করল।
একনজরে ম্যাচ হাইলাইটস:
বোলার: সোনাম ইয়েশে (ভুটান)।
কৃতিত্ব: ৮ উইকেট (৭ রান খরচায়)।
ব্যক্তিগত অর্জন: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড।
ম্যাচের ফলাফল: ভুটান ৮২ রানে জয়ী।
সিরিজের অবস্থা: ভুটান ৩-০ ব্যবধানে জয়ী।
