জয় দিয়ে শুরু হলো সাব্বির-নাসিরদের বিপিএল। সহকারী কোচের প্রয়াণের দিনে ঢাকা ক্যাপিটালস মাঠের ক্রিকেটে ছিল উজ্জ্বল। রাজশাহী ওয়ারিয়র্সকে প্রথম হারের স্বাদ দিয়ে হেসেখেলে জয় তুলে নিয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল। [গুগল নিউজে বিডিক্রিকটাইম ফলো করুন]
আগের দিন এই মাঠেই সিলেট টাইটান্সের ওপর চড়াও হয়েছিল রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। তবে এবার ঠিক উল্টো অভিজ্ঞতা হলো ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। বিপিএলের দ্বাদশ আসরের তৃতীয় ম্যাচে ঢাকার বোলিং হলো দেখার মতো। ইমাদদের বোলিং তোপে অল্পেই থেমেছে রাজশাহী।
ঢাকার অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। নাজমুল হোসেন শান্তও জানিয়েছিলেন, তিনিও চেয়েছিলেন আগে বোলিং করতে। কেন দুই অধিনায়কই বোলিং করতে চেয়েছিলেন, তা স্পষ্ট হয় ম্যাচের শুরুতেই।
প্রথম বলেই সাজঘরে সাহিবজাদা ফারহান। দিনটা ইমাদ ওয়াসিমের, তা বুঝতে আর বেশি বাকি ছিল না। দ্বিতীয় আঘাত হানেন অবশ্য নাসির হোসেন, সাজঘরে ফেরান ১৫ বলে ২০ রান করে তানজিদ হাসান তামিমকে। এরপর আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শান্ত আর অভিজ্ঞ ইয়াসির আলীকে ফিরিয়ে চেপে ধরেন ইমাদ। একাদশ ওভার শেষে রান মতে ৭৮, উইকেট নেই চারটি।
অনুমিতভাবেই ধীরে ধীরে আরও ধীর হয়ে যায় রাজশাহীর রানের গতি। শান্তর ২৮ বলে ৩৭ রানই ছিল সর্বোচ্চ স্কোর। এছাড়া ২৩ বলে ২৪ রান করেন মুশফিকুর রহিম। ইমাদের তিন উইকেট শিকারের দিনে নাসির পেয়েছেন জোড়া উইকেট। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান দাঁড়ায় রাজশাহীর সংগ্রহ। ২৬ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ নওয়াজ।
জবাব দিতে নেমে ঢাকা শুরুতেই হারিয়ে ফেলে সাইফ হাসানকে। এরপর উসমান খানকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। উসমান ১৫ বলে ১৮ রান করে থামলে সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনও। ১০ বলে ১২ রান আসে মিঠুনের ব্যাট থেকে। মামুন ৩৯ বলে ৪৫ রান করে আউট হলে দায়িত্ব বর্তায় নাসির হোসেন ও শামীম হোসেন পাটোয়ারির কাঁধে।
২২ বলে ১৯ রান করে নাসির বিদায় নিলে ক্রিজে নামেন সাব্বির রহমান, যিনি শুরু থেকেই ছিলেন মারকুটে। ২১০ ষ্টিইক রেটে ব্যাট করে ১০ বলে ২১ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। ১৩ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন শামীম।
