এক দিনেই ইসরায়েলের ২৮টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করলো ইরান!



ফিলিস্তিনের গাজায় অসহায় নিরস্ত্র মুসলমানদের গণহত্যাকারী দখলদার ইসরায়েল এবার পড়েছে ইরানের ডেরায়। ওরা ভুলে গিয়েছিলো ইরানের শক্তিমত্তা আর আধুনিক সব যুদ্ধ প্রযুক্তির কথা। আগ বাড়িয়ে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র সামাল দিতে এখন রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দেশকে। ইরানে আবারো পাল্টা হামলা চালাতে গিয়ে এবার ২৪ ঘন্টায় অত্যাধুনিক ২৮টি যুদ্ধবিমান হারালো ইসরায়েল। যুদ্ধবিমানগুলো ইরানের সেনাদের রণকৌশল আর আধুনিক সব যুদ্ধ প্রযুক্তির কাছে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে।


এসবের মধ্যে ছিলো একটি গুপ্তচর ড্রোন, যা ইরানের ‘সংবেদনশীল’ স্থানগুলো সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছিল বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী বাভার-৩৭৩ এবং খোরদাদ-১৫ নামের স্বদেশে নির্মিত দূরপাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে এসব বিমান ও ড্রোন শনাক্ত করে এবং টার্গেট করে ভূপাতিত করে বলে জানা গেছে।


ইরানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আকাশসীমায় প্রবেশের পরপরই শত্রু বিমানের গতিপথ পর্যবেক্ষণ করে অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেম। এরপর মাল্টি-লেয়ার্ড ডিফেন্স নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তা লক করা হয়। বিশেষত খোরদাদ-১৫ সিস্টেম ১২০ কিমি দূর থেকে লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে এবং ৭৫ কিমি পর্যন্ত দূরত্বে টার্গেট ভূপাতিত করতে সক্ষম। এই সিস্টেমের সাহায্যেই বেশিরভাগ বিমানকে ধ্বংস করা হয় বলে দাবি করেছে তেহরান।


আরকিউ-৪ গ্লোবাল হাওক মডেলের গুপ্তচর ড্রোনটি উচ্চমাত্রার নজরদারি চালাচ্ছিল এবং ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র লক্ষ্য করছিল বলে জানায় ইরান। সেটিকেও সফলভাবে জ্যামিং এবং মিসাইল হামলার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয় বলে জানিয়েছে ইরানী প্রশাসন।


এদিকে ইরানের সাথে ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানোর পর, বিশ্বের প্রভাবশালী সব দেশগুলো একে অপরের পক্ষ নিচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোসহ চীন ও রাশিয়া ইরানের পক্ষে অবস্থান নিলেও আমেরিকাসহ অন্য পশ্চিমারা অবস্থান নিয়েছে ইসরায়েলের পক্ষে। যেভাবে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত এগোচ্ছে তাতে করে অন্য দেশগুলোরও যুদ্ধে জড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা।

Post a Comment

Previous Post Next Post