বৃথা গেল ইমনের দুর্দান্ত ইনিংস, শান্তর সেঞ্চুরি এবং মুফিকরে হাফ সেঞ্চুরিতে জিতলো রাজশাহী



বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচেই দেখা গেল বড় রান। সিলেট টাইটান্সের দেওয়া ১৯১ রানের লক্ষ্য ৫৮ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। পদ্মা পাড়ের দলটির হয়ে ৫৮ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলে জয়ের নায়ক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।


এদিন টস জিতে সিলেটকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান রাজশাহীর অধিনায়ক শান্ত। ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে স্বাগতিকদের ভালো শুরু এনে দেন সাইম আইয়ুব। সিলেটে এদিন ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পাকিস্তানি ওপেনার। তবে তাকে থামান বিনুরা ফার্নান্দো। তার আগে ১৫ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ২৮ রান করেন সাইম।


আরেক ওপেনার রনি তালুকদার শুরুতে খেলেছিলেন রয়েসয়ে। তবে ইনিংসের মাঝের দিকে ঝড় তুলতে পারেননি তিনি। ৩৪ বলে ৪ বাউন্ডারিতে খেলেন ৪১ রানের ইনিংস। তবে সিলেটকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছেন চারে নামা পারভেজ হোসেন ইমন। রাজশাহীর বোলারদের ওপর রীতিমত তান্ডব চালান তিনি। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৩৩ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ৬৫ রানে অপরাজিত ছিলেন ইমন। আফিফ করেছেন ১৯ বলে ৩৩ রান।


চুক্তির পুরো টাকা পাবে তো নাঈম শেখরা?

রাজশাহীর হয়ে ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন সন্দ্বীপ লামিচানে। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন বিনুরা ফার্নান্দো ও তানজিম সাকিব।


রান তাড়ায় শুরুতেই তানজিদ তামিমকে হারায় রাজশাহী। আরেক ওপেনার শাহিবজাদা ফারহানও পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। ১৯ বলে ২০ রান করেন পাকিস্তানি এ ওপেনার।


তবে রাজশাহীকে জয়ের পথেই রাখেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। শুরুতে দুজনে দেখেশুনে খেলেছেন। তবে এরপর সময় যত গড়িয়েছে ততই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন শান্ত ও মুশফিক। ৩৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন শান্ত। এরপর সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে সময় নেন আর মাত্র ২৩ বল। সব মিলিয়ে ৫৮ বলে ১০ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন রাজশাহী অধিনায়ক। মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ৩১ বলে অপরাজিত ৫১ রান।


সিলেটের হয়ে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও খালেদ আহমেদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post